শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি,কালের খবর : নওগাঁ জেলার বৃহত্তম উপজেলা মান্দায় আসন্ন একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগে মুহাঃ ইমাজ ইমাজ উদ্দীন প্রাং কে নৌকা প্রতিক দেওয়ায় মান্দার ১৪টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছে।
প্রতিক বরাদ্ধ দেওয়ার আগে ও পরে জাতীয় দৈনিক স্বাধীন সংবাদের প্রতিবেদক ১৪ টি ইউনিয়ন ঘুরে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সাধারন জনগনের মতামত নিয়ে জানা যায়, বর্ষিয়ান নেতা মুহাঃ ইমাজ উদ্দীন প্রাং বিগত আমলে কলস মার্কায় সত্বন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের সময় মান্দার জনগনকে বার বার বলে ছিলো, এই বারিই আমার শেষ নির্বাচন। এই একটিবার আমায় কলস মার্কায় দয়া করে ভোট দিবেন,আমি আপনাদের রাস্তা ঘাট, ব্রীজ,কালভাট থেকে শুরু করে মান্দার সকল কাজ গুলো করে দেবো। আমার কোন দোষ নেই তবুও নেত্রী আমাকে নৌকা প্রতিক দেয় নাই,আপনারাই আমার সব, একবার আমাকে কলসী মার্কায় ভোট ভিক্ষা দেবেন। এমন অনেক কাকুতি,মিনতি শুনে মান্দার জনগন তাকে কলস মার্কায় ভোট দিয়ে জয় লাভ করায়। পরবর্তীতে সাধারন মানুষের কোন কাজে ঢাকায় উনার কাছে গেলে বলতেন,আমি স্বতন্র এম,পি কি এমন কাজ করতে পারি?এর পর গত ৫ই জানুয়ারী নির্বাচন করেন নৌকা প্রতিকে সেবারও তিনি বলে ছিলেন এই একটিবার আমার শেষ বার, আর কোনদিন আমি নির্বাচনে আসবো না,আমাকে নৌকা মার্কায় শেষবারের মত ভোট দিবেন বলে তখনো অনেক আশ্বাস দেন জনগন ও নেতাকর্মীদের। জনগন ভোটও দেয় নির্বাচিতও হন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা উনাকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের পুর্ন মন্ত্রীত্ব দেন। সেবারও মান্দার জনগন ও নেতাকর্মীদের হতাশ করেন। বর্তমানে মুহাঃ ইমাজ উদ্দীন প্রাং বয়সের ভারস্থতায় অসুস্থ,একা একা দাঁড়াইতে পারেন না।নেতা কর্মীরা উনার কাছে কোন কাজ অথবা দেখা করতে গেলে প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। অন্য দিকে উনার প্যানেলের গুটি কয়েক নেতা কর্মী আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়ে গেছে নেতা কর্মী বা জনগনের দিকে না তাকিয়ে তারা নিজের অর্থ কামায় নিয়ে ব্যাস্ত থাকে এসব মিলিয়ে মান্দার জন সাধারন ও প্রকৃত নেতা কর্মীরা তৃত্বীয়বারের মত, আর একটিবার বা এটাই আমার শেষ, এই ধরনের কথা শুনতে চান না। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন ত্যাগী নেতা বলেন,উনার নিজের চাহিদা আল্লাহ পুরন করতে পারে নাই, মান্দার জনগন কিভাবে পুরন করবে? এতটা লোভ করা মোটেও উচিত নয় উনার। উনার বয়স হয়েছে,যোগ্য,শিক্ষিত,ত্যাগী ও প্রকৃত আওয়ামী পরিবারের নেতা এই মান্দায় আছে, উনার উচিত এমন নেতাকে নিজে হাতে দিয়ে অবসরে যাবেন।এটাই মান্দার জনগন চায়। মান্দার ভ্যালাইন ইউনিয়নের নেতাকর্মী ও সাধারন জনগন জানান,জননেত্রী কখনোই উনাকে প্রতিক দেওয়ার মত এমন ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না।অবশ্যই এর ভীতরে কোন গোপন,, কিন্তু,,রয়েছে। সুবিধাবাদী ছুট,ছাঁট নেতা দুএকটা মেম্বারের কাছেও থাকে তার মানে এই নয় যে উনি এখনো সেই যৌলুস রেখেছেন। জনপ্রিয়তায় শূন্যের কোটায় কিভাবে নেত্রী জরিপ করলেন আর কোন জরিপে উনাকে প্রতিক দিলো আমাদের বোধগম্য নয়।ভাঁরশো ইউনিয়নের একাধিক নেতা কর্মীরা জানান, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসী,দলকে ভালোবাসী, আমার ভোট নেত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে নৌকাতে দেবো।কিন্তু কাউকে ভোট দিতে বলতে পারবো না,যত টাকায় দিক সব খেয়ে নেবো। এদিকে নৌকা প্রতিক নিয়ে এলে, মানোনীয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহঃ ইমাজ উদ্দীন প্রাং, মান্দায় তেমন কোন আনন্দ, উল্ল্যাস নেতা কর্মীদের বা মান্দার জনগনের মাঝে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। মান্দার একাধিক নেতাকর্মীরা জানান,আমরা জানিনা, এটা নেত্রীর সিদ্ধান্ত নাকি অন্য কিছু। কিভাবে জরিপ করলেন আর কোন জরিপে পেলেন,আমরা কিছুই বুঝতে পারছিনা।মান্দার অন্য দিকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর জনপ্রিয়তা শুন্যের কোটায় থাকায়, জামাত,বিএনপির লোকেরা চুপটি মুখে মুচকি হাঁসি হাঁসছে। মান্দার প্রায় সকল স্থানের পরিস্থিতি একই রকম।তারা দাবী করে বলেন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের মান্দা দশ বছরে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। আমরা আর পিছিয়ে থাকতে রাজি নয়। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশ রত্ শেখ হাসিনা যেন, এই মান্দার নেতাকর্মী ও জনগনের দিকে তাকিয়ে এই ভুল সিদ্ধান্ত বদলীয়ে জনবান্ধব ও যোগ্য শিক্ষিত নেতাকে নৌকা প্রতিক দিয়ে,আওয়ামীলীগের এই মান্দার সীটকে রক্ষা করেন।